Set 2 WB SSC SLST 2025 2. শিক্ষার মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তিসমূহ
Quiz-summary
0 of 60 questions completed
Questions:
- 1
- 2
- 3
- 4
- 5
- 6
- 7
- 8
- 9
- 10
- 11
- 12
- 13
- 14
- 15
- 16
- 17
- 18
- 19
- 20
- 21
- 22
- 23
- 24
- 25
- 26
- 27
- 28
- 29
- 30
- 31
- 32
- 33
- 34
- 35
- 36
- 37
- 38
- 39
- 40
- 41
- 42
- 43
- 44
- 45
- 46
- 47
- 48
- 49
- 50
- 51
- 52
- 53
- 54
- 55
- 56
- 57
- 58
- 59
- 60
Information
Set 2 WB SSC SLST 2025 2. শিক্ষার মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তিসমূহ
You have already completed the quiz before. Hence you can not start it again.
Quiz is loading...
You must sign in or sign up to start the quiz.
You have to finish following quiz, to start this quiz:
Results
0 of 60 questions answered correctly
Your time:
Time has elapsed
You have reached 0 of 0 points, (0)
Average score | |
Your score |
Categories
- Not categorized 0%
Pos. | Name | Entered on | Points | Result |
---|---|---|---|---|
Table is loading | ||||
No data available | ||||
- 1
- 2
- 3
- 4
- 5
- 6
- 7
- 8
- 9
- 10
- 11
- 12
- 13
- 14
- 15
- 16
- 17
- 18
- 19
- 20
- 21
- 22
- 23
- 24
- 25
- 26
- 27
- 28
- 29
- 30
- 31
- 32
- 33
- 34
- 35
- 36
- 37
- 38
- 39
- 40
- 41
- 42
- 43
- 44
- 45
- 46
- 47
- 48
- 49
- 50
- 51
- 52
- 53
- 54
- 55
- 56
- 57
- 58
- 59
- 60
- Answered
- Review
- Question 1 of 60
1. Question
1 points1. প্রাচীনকালে ব্যক্তিত্বের সংজ্ঞাগুলিকে নিম্নলিখিত কোন্ মনোবিজ্ঞানী বিভক্ত করেছেন। (i) ঐশ্বরিক দৃষ্টিভঙ্গি (ii) দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি (iii) সামাজিক দৃষ্টিভলিশ (iv) মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি।
CorrectIncorrect - Question 2 of 60
2. Question
1 points2. ব্যক্তিত্বের ব্যাখ্যা হল-
(i) নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখা
(ii) আত্মপ্রত্যয় গড়ে তোলা
(iii) নিজেকে অন্যদের কাছে তুলে ধরা
(iv) সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা
(v) বর্তমান এবং ভবিষ্যতে সার্থক অভিযোজনে সক্ষম হওয়াCorrectIncorrect - Question 3 of 60
3. Question
1 points3. (i) ব্যক্তিত্ব বলতে বোঝায় ব্যপ্তির সঙ্গে অন্যান্যদের সম্পর্ক
(ii) ব্যপ্তির বিভিন্ন সহজাত ও অর্জিত বৈশিষ্ট্যাবলির সমন্বয় হল ব্যক্তিত্ব
(iii) ব্যপ্তির বৌশিক, অনুভূতিমূলক, মনোসঞ্চালনমূলক এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্যাবলির সমন্বয় হল ব্যক্তিত্ব
(iv) পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনের সমন্বিত করাই হল ব্যক্তিত্ব।
ব্যক্তিত্বের উপরের ব্যাখ্যাগুলিকে একত্রে বলা যায়-
CorrectIncorrect - Question 4 of 60
4. Question
1 points4. ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল-
CorrectIncorrect - Question 5 of 60
5. Question
1 points5. নীচের কোনটি ব্যক্তিত্ব বিকাশের প্রক্রিয়া নয়?
CorrectIncorrect - Question 6 of 60
6. Question
1 points6. নীচের কোনটি সঠিক?
CorrectIncorrect - Question 7 of 60
7. Question
1 points. 7. ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন নির্ভর করে-
(i) শারীরিক পরিবর্তন (ii) বংশধারার পরিবর্তন
(iii) বুদ্ধি (iv) সামাজিক চাপ
(v) পরিবেশের পরিবর্তন।CorrectIncorrect - Question 8 of 60
8. Question
1 points8. ব্যস্তিত্ব বিকাশের প্রক্রিয়াগুলি হল-
CorrectIncorrect - Question 9 of 60
9. Question
1 points9. স্বাভাবিক সামাজিক বিকাশের অন্তরায়গুলি কী?
(1) সামাজিক বঞ্চনা
(ii) সামাজিক কাজে অত্যধিক অংশগ্রহণ
(iii) অধিক নির্ভরশীলতা
(iv) কুসংস্কার।CorrectIncorrect - Question 10 of 60
10. Question
1 points10. ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্রমপর্যায় ভিত্তিক স্তর হল-
Correctব্যক্তিত্ব বিকাশ একটি ধারাবাহিক ও স্তরভিত্তিক প্রক্রিয়া, যেখানে শিশু ধীরে ধীরে সহজাত প্রতিক্রিয়া থেকে জটিল মানসিক গঠন পর্যন্ত অগ্রসর হয়। এই প্রক্রিয়ার প্রধান স্তরগুলো সাধারণত নিম্নরূপে বিবেচিত হয়:
অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া (Submissive/Reflexive Reaction): জন্মের পর শিশু পরিবেশগত উদ্দীপনায় স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া দেয়।
অভ্যাস (Habit Formation): অভিজ্ঞতা ও পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে কিছু প্রতিক্রিয়া অভ্যাসে পরিণত হয়।
সংলক্ষণ (Retention): অভিজ্ঞতাগুলো স্মৃতিতে সংরক্ষিত হয় যা ভবিষ্যতের আচরণে প্রভাব ফেলে।
অহংসত্তা (Ego Formation): নিজেকে অন্যদের থেকে পৃথক ব্যক্তি হিসেবে চিনতে শেখে।
ব্যক্তিসত্তা (Individual Personality): পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রূপ নেয়, যেখানে আত্মপরিচয় ও আত্মনিয়ন্ত্রণ গড়ে ওঠে।
এই বিবেচনায় (a) বিকল্পের ক্রমটাই সবচেয়ে যথাযথ।
Incorrectব্যক্তিত্ব বিকাশ একটি ধারাবাহিক ও স্তরভিত্তিক প্রক্রিয়া, যেখানে শিশু ধীরে ধীরে সহজাত প্রতিক্রিয়া থেকে জটিল মানসিক গঠন পর্যন্ত অগ্রসর হয়। এই প্রক্রিয়ার প্রধান স্তরগুলো সাধারণত নিম্নরূপে বিবেচিত হয়:
অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া (Submissive/Reflexive Reaction): জন্মের পর শিশু পরিবেশগত উদ্দীপনায় স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া দেয়।
অভ্যাস (Habit Formation): অভিজ্ঞতা ও পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে কিছু প্রতিক্রিয়া অভ্যাসে পরিণত হয়।
সংলক্ষণ (Retention): অভিজ্ঞতাগুলো স্মৃতিতে সংরক্ষিত হয় যা ভবিষ্যতের আচরণে প্রভাব ফেলে।
অহংসত্তা (Ego Formation): নিজেকে অন্যদের থেকে পৃথক ব্যক্তি হিসেবে চিনতে শেখে।
ব্যক্তিসত্তা (Individual Personality): পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রূপ নেয়, যেখানে আত্মপরিচয় ও আত্মনিয়ন্ত্রণ গড়ে ওঠে।
এই বিবেচনায় (a) বিকল্পের ক্রমটাই সবচেয়ে যথাযথ।
- Question 11 of 60
11. Question
1 points11. সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া বলতে বোঝায়-
Correctসামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে সমাজের রীতিনীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং আচরণবিধি সম্পর্কে অবগত করা এবং সেগুলোকে আত্মস্থ করতে সাহায্য করা। এর মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের একজন কার্যকরী সদস্য হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
প্রথমত, সমাজ সমর্থিত আচরণ শিখন সামাজিকীকরণের একটি অপরিহার্য অংশ। এর অর্থ হলো ব্যক্তি সমাজের দ্বারা গ্রহণযোগ্য এবং প্রত্যাশিত আচরণগুলো শিখবে। উদাহরণস্বরূপ, শিশুরা তাদের পরিবার, স্কুল এবং বন্ধুদের কাছ থেকে সম্মান করা, সহযোগিতা করা, এবং নিয়ম মেনে চলার মতো আচরণগুলো শেখে। এই আচরণগুলো সমাজের সুস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেমন পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমবয়সী দল এবং গণমাধ্যম এই আচরণ শেখানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। [1] [2]
দ্বিতীয়ত, সামাজিক ভূমিকা পালন করা সামাজিকীকরণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সমাজে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকা নির্ধারিত থাকে, যেমন – একজন সন্তান, একজন শিক্ষার্থী, একজন কর্মচারী, একজন নাগরিক ইত্যাদি। এই ভূমিকাগুলোর সাথে নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যাশা এবং দায়িত্ব জড়িত থাকে। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি এই ভূমিকাগুলো সম্পর্কে জানতে পারে এবং সে অনুযায়ী আচরণ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তার পড়াশোনা করা এবং শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। [3]
তৃতীয়ত, সামাজিক মনোভাব বিকাশসাধন সামাজিকীকরণের একটি মৌলিক উপাদান। এর অর্থ হলো ব্যক্তি সমাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব, মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস গড়ে তুলবে। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, দেশপ্রেম এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতি। এই মনোভাবগুলো ব্যক্তির সামাজিক সম্পর্ক এবং সমাজের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করে। পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই মনোভাব বিকাশে প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে। [4]
সুতরাং, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া কেবল একটি নির্দিষ্ট দিককে বোঝায় না, বরং এটি একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তি সমাজের রীতিনীতি, আচরণবিধি, ভূমিকা এবং মনোভাবের সাথে পরিচিত হয় এবং সেগুলোকে আত্মস্থ করে। এই তিনটি উপাদান একে অপরের পরিপূরক এবং সম্মিলিতভাবে একটি ব্যক্তিকে সমাজের একজন পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে গড়ে তোলে।
Incorrectসামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে সমাজের রীতিনীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং আচরণবিধি সম্পর্কে অবগত করা এবং সেগুলোকে আত্মস্থ করতে সাহায্য করা। এর মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের একজন কার্যকরী সদস্য হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
প্রথমত, সমাজ সমর্থিত আচরণ শিখন সামাজিকীকরণের একটি অপরিহার্য অংশ। এর অর্থ হলো ব্যক্তি সমাজের দ্বারা গ্রহণযোগ্য এবং প্রত্যাশিত আচরণগুলো শিখবে। উদাহরণস্বরূপ, শিশুরা তাদের পরিবার, স্কুল এবং বন্ধুদের কাছ থেকে সম্মান করা, সহযোগিতা করা, এবং নিয়ম মেনে চলার মতো আচরণগুলো শেখে। এই আচরণগুলো সমাজের সুস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেমন পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমবয়সী দল এবং গণমাধ্যম এই আচরণ শেখানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। [1] [2]
দ্বিতীয়ত, সামাজিক ভূমিকা পালন করা সামাজিকীকরণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সমাজে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকা নির্ধারিত থাকে, যেমন – একজন সন্তান, একজন শিক্ষার্থী, একজন কর্মচারী, একজন নাগরিক ইত্যাদি। এই ভূমিকাগুলোর সাথে নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যাশা এবং দায়িত্ব জড়িত থাকে। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি এই ভূমিকাগুলো সম্পর্কে জানতে পারে এবং সে অনুযায়ী আচরণ করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তার পড়াশোনা করা এবং শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। [3]
তৃতীয়ত, সামাজিক মনোভাব বিকাশসাধন সামাজিকীকরণের একটি মৌলিক উপাদান। এর অর্থ হলো ব্যক্তি সমাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব, মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস গড়ে তুলবে। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, দেশপ্রেম এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতি। এই মনোভাবগুলো ব্যক্তির সামাজিক সম্পর্ক এবং সমাজের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করে। পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই মনোভাব বিকাশে প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে। [4]
সুতরাং, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া কেবল একটি নির্দিষ্ট দিককে বোঝায় না, বরং এটি একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তি সমাজের রীতিনীতি, আচরণবিধি, ভূমিকা এবং মনোভাবের সাথে পরিচিত হয় এবং সেগুলোকে আত্মস্থ করে। এই তিনটি উপাদান একে অপরের পরিপূরক এবং সম্মিলিতভাবে একটি ব্যক্তিকে সমাজের একজন পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে গড়ে তোলে।
- Question 12 of 60
12. Question
1 points12. শিশুদের সামাজিকীকরণে গ্যাং কীভাবে সাহায্য করে?
CorrectIncorrect - Question 13 of 60
13. Question
1 points13. নীচের কোনটি সঠিক নয়?
CorrectIncorrect - Question 14 of 60
14. Question
1 points14. সামাজিক বিকাশের অর্থ হল-
(i) সমাজ প্রত্যাশিত আচরণের ক্ষমতা অর্জন করা।
(ii) সমাজে উচ্চাসনে বসার ক্ষমতা অর্জন করা।
(iii) সমাজ উন্নয়নে সক্রিয় হওয়া।
(iv) সমাজ পরিবর্তনে উদ্যোগী হওয়া।
Correctসঠিক উত্তর: (b) (i) এবং (iii)
ব্যাখ্যা:
সামাজিক বিকাশ বলতে বোঝায়—(i) সমাজ প্রত্যাশিত আচরণের ক্ষমতা অর্জন করা:
এটি সামাজিক বিকাশের মূল ভিত্তি। একজন ব্যক্তি সমাজে কিভাবে আচরণ করবে, তা শেখে—যেমন সহযোগিতা, সম্মান, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি।(iii) সমাজ উন্নয়নে সক্রিয় হওয়া:
একটি পরিপক্ব সামাজিক মনোভাবের লক্ষণ হলো সমাজকল্যাণে অংশগ্রহণ করা, যা বিকশিত সামাজিক বোধের ফলাফল।অন্য দুটি বিকল্প:
(ii) সমাজে উচ্চাসনে বসার ক্ষমতা অর্জন করা → এটি ব্যক্তিগত অর্জন, সামাজিক বিকাশ নয়।(iv) সমাজ পরিবর্তনে উদ্যোগী হওয়া → এটি সামাজিক সচেতনতাকে বোঝায়, তবে এটি সামাজিক বিকাশের প্রাথমিক লক্ষ্য নয়।
সুতরাং, (i) এবং (iii)-ই সামাজিক বিকাশের প্রকৃত অর্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
Incorrectসঠিক উত্তর: (b) (i) এবং (iii)
ব্যাখ্যা:
সামাজিক বিকাশ বলতে বোঝায়—(i) সমাজ প্রত্যাশিত আচরণের ক্ষমতা অর্জন করা:
এটি সামাজিক বিকাশের মূল ভিত্তি। একজন ব্যক্তি সমাজে কিভাবে আচরণ করবে, তা শেখে—যেমন সহযোগিতা, সম্মান, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি।(iii) সমাজ উন্নয়নে সক্রিয় হওয়া:
একটি পরিপক্ব সামাজিক মনোভাবের লক্ষণ হলো সমাজকল্যাণে অংশগ্রহণ করা, যা বিকশিত সামাজিক বোধের ফলাফল।অন্য দুটি বিকল্প:
(ii) সমাজে উচ্চাসনে বসার ক্ষমতা অর্জন করা → এটি ব্যক্তিগত অর্জন, সামাজিক বিকাশ নয়।(iv) সমাজ পরিবর্তনে উদ্যোগী হওয়া → এটি সামাজিক সচেতনতাকে বোঝায়, তবে এটি সামাজিক বিকাশের প্রাথমিক লক্ষ্য নয়।
সুতরাং, (i) এবং (iii)-ই সামাজিক বিকাশের প্রকৃত অর্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
- Question 15 of 60
15. Question
1 points15. বক্তব্যগুলির মধ্যে সঠিক হল-
(i) বয়ঃসন্ধিকালে দলগত কার্যাবলি বৃদ্ধি পায়।
(ii) বয়ঃসন্ধিকালে দলগত কার্যাবলি হ্রাস পায়।
(iii) বয়ঃসন্ধিকালে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বৃধি পায়।
(iv) বয়ঃসন্ধিকালে সাধারণত মানসিক ভারসাম্য ব্যাহত হয় না।CorrectIncorrect - Question 16 of 60
16. Question
1 points16 .’ব্যান্ডেল হাইপোথিসিস’ মনস্তত্ত্বের কোন্ দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশেষভাবে উল্লিখিত আছে?
CorrectIncorrect - Question 17 of 60
17. Question
1 points17. আচরণবাদীগণ আচরণকে ব্যাখ্যা করেছেন-
CorrectIncorrect - Question 18 of 60
18. Question
1 points18. মনোবিজ্ঞানের উপর গবেষণাগার সর্বপ্রথম কে এবং কোথায় স্থাপন করেছিলেন?
CorrectIncorrect - Question 19 of 60
19. Question
1 points19. “বংশধারা এবং পরিবেশের গুণফল হল ব্যক্তি”-কার উক্তি?
CorrectIncorrect - Question 20 of 60
20. Question
1 points20. নিম্নোক্ত মনস্তাত্ত্বিকদের মধ্যে কাকে চূড়ান্ত আচরণবাদী বলা হয়?
Correctনিম্নোক্ত মনস্তাত্ত্বিকদের মধ্যে কাকে চূড়ান্ত আচরণবাদী বলা হয়?
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য, আমরা প্রথমে আচরণবাদের ধারণাটি বোঝার চেষ্টা করব। আচরণবাদ হলো মনোবিজ্ঞানের একটি শাখা যা মানুষের আচরণকে পর্যবেক্ষণযোগ্য এবং পরিমাপযোগ্য উপায়ে ব্যাখ্যা করার উপর জোর দেয়। আচরণবাদীরা মনে করেন যে মানুষের আচরণ পরিবেশগত উদ্দীপনার ফলস্বরূপ এবং এটি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যেতে পারে।
আচরণবাদের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এদের মধ্যে চরমপন্থী আচরণবাদ (Radical Behaviorism) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। চরমপন্থী আচরণবাদীরা মনে করেন যে মানুষের অভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়াগুলি, যেমন চিন্তা ও অনুভূতি, আচরণকে ব্যাখ্যা করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক। তারা শুধুমাত্র বাহ্যিক উদ্দীপনা এবং তার প্রতিক্রিয়ার উপর মনোনিবেশ করেন।
এই প্রেক্ষাপটে, প্রশ্ন হলো, চূড়ান্ত আচরণবাদী কে?
উইলিয়াম ম্যাকডুগাল: উইলিয়াম ম্যাকডুগাল একজন ব্রিটিশ-মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ছিলেন যিনি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি এবং আবেগ নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি আচরণবাদের সঙ্গে সরাসরিভাবে জড়িত ছিলেন না।
আর এস উডওয়ার্থ: আর এস উডওয়ার্থ একজন প্রভাবশালী আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী ছিলেন যিনি পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞান এবং আচরণবাদের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। তবে, তিনি চরমপন্থী আচরণবাদী ছিলেন না।
স্কিনার: বি. এফ. স্কিনার (B. F. Skinner) ছিলেন একজন প্রভাবশালী আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী যিনি চরমপন্থী আচরণবাদের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা ছিলেন। তিনি অপারেন্ট কন্ডিশনিং (Operant conditioning) ধারণাটি তৈরি করেন, যা আচরণকে শক্তিশালীকরণ এবং শাস্তির মাধ্যমে পরিবর্তনের উপর জোর দেয়। স্কিনার মনে করতেন যে মানুষের অভ্যন্তরীণ মানসিক অবস্থাগুলি বিশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য নয়, বরং মানুষের আচরণ পরিবেশের দ্বারা নির্ধারিত হয়।
জে বি ওয়াটসন: জন বি. ওয়াটসন (John B. Watson) আচরণবাদের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মানুষের আচরণকে পর্যবেক্ষণযোগ্য উপায়ে অধ্যয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন। যদিও ওয়াটসন আচরণবাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তবে স্কিনার চরমপন্থী আচরণবাদের ধারণাকে আরও বিকশিত করেন।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো: (c) স্কিনার।নিচের মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে যিনি চূড়ান্ত আচরণবাদী (Radical Behaviorist) নামে পরিচিত, তিনি হলেন B.F. Skinner (বি. এফ. স্কিনার)।
তার অবদান:
তিনি চূড়ান্ত আচরণবাদ (Radical Behaviorism) ধারণা প্রচার করেন।
প্রশংসা এবং শাস্তি (Reinforcement and Punishment) ভিত্তিক অপারেন্ট কন্ডিশনিং (Operant Conditioning) তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন।
স্কিনার মন ও চেতনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলির চেয়ে পর্যবেক্ষণযোগ্য আচরণ-কে বেশি গুরুত্ব দেন।
অন্যান্য বিকল্প ব্যাখ্যা:
(a) উইলিয়াম ম্যাকডুগাল: প্রবৃত্তি-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তা।
(b) আর.এস. উডওয়ার্থ: S–O–R (Stimulus–Organism–Response) মডেলের প্রবক্তা, তিনি আচরণবাদ ও মানসিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটান।
(d) জে.বি. ওয়াটসন: আধুনিক আচরণবাদের প্রবর্তক, কিন্তু স্কিনার এই তত্ত্বকে পরিপূর্ণতা দেন।
Incorrectনিম্নোক্ত মনস্তাত্ত্বিকদের মধ্যে কাকে চূড়ান্ত আচরণবাদী বলা হয়?
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য, আমরা প্রথমে আচরণবাদের ধারণাটি বোঝার চেষ্টা করব। আচরণবাদ হলো মনোবিজ্ঞানের একটি শাখা যা মানুষের আচরণকে পর্যবেক্ষণযোগ্য এবং পরিমাপযোগ্য উপায়ে ব্যাখ্যা করার উপর জোর দেয়। আচরণবাদীরা মনে করেন যে মানুষের আচরণ পরিবেশগত উদ্দীপনার ফলস্বরূপ এবং এটি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যেতে পারে।
আচরণবাদের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এদের মধ্যে চরমপন্থী আচরণবাদ (Radical Behaviorism) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। চরমপন্থী আচরণবাদীরা মনে করেন যে মানুষের অভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়াগুলি, যেমন চিন্তা ও অনুভূতি, আচরণকে ব্যাখ্যা করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক। তারা শুধুমাত্র বাহ্যিক উদ্দীপনা এবং তার প্রতিক্রিয়ার উপর মনোনিবেশ করেন।
এই প্রেক্ষাপটে, প্রশ্ন হলো, চূড়ান্ত আচরণবাদী কে?
উইলিয়াম ম্যাকডুগাল: উইলিয়াম ম্যাকডুগাল একজন ব্রিটিশ-মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ছিলেন যিনি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি এবং আবেগ নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি আচরণবাদের সঙ্গে সরাসরিভাবে জড়িত ছিলেন না।
আর এস উডওয়ার্থ: আর এস উডওয়ার্থ একজন প্রভাবশালী আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী ছিলেন যিনি পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞান এবং আচরণবাদের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। তবে, তিনি চরমপন্থী আচরণবাদী ছিলেন না।
স্কিনার: বি. এফ. স্কিনার (B. F. Skinner) ছিলেন একজন প্রভাবশালী আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী যিনি চরমপন্থী আচরণবাদের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা ছিলেন। তিনি অপারেন্ট কন্ডিশনিং (Operant conditioning) ধারণাটি তৈরি করেন, যা আচরণকে শক্তিশালীকরণ এবং শাস্তির মাধ্যমে পরিবর্তনের উপর জোর দেয়। স্কিনার মনে করতেন যে মানুষের অভ্যন্তরীণ মানসিক অবস্থাগুলি বিশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য নয়, বরং মানুষের আচরণ পরিবেশের দ্বারা নির্ধারিত হয়।
জে বি ওয়াটসন: জন বি. ওয়াটসন (John B. Watson) আচরণবাদের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মানুষের আচরণকে পর্যবেক্ষণযোগ্য উপায়ে অধ্যয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন। যদিও ওয়াটসন আচরণবাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তবে স্কিনার চরমপন্থী আচরণবাদের ধারণাকে আরও বিকশিত করেন।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো: (c) স্কিনার।নিচের মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে যিনি চূড়ান্ত আচরণবাদী (Radical Behaviorist) নামে পরিচিত, তিনি হলেন B.F. Skinner (বি. এফ. স্কিনার)।
তার অবদান:
তিনি চূড়ান্ত আচরণবাদ (Radical Behaviorism) ধারণা প্রচার করেন।
প্রশংসা এবং শাস্তি (Reinforcement and Punishment) ভিত্তিক অপারেন্ট কন্ডিশনিং (Operant Conditioning) তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন।
স্কিনার মন ও চেতনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলির চেয়ে পর্যবেক্ষণযোগ্য আচরণ-কে বেশি গুরুত্ব দেন।
অন্যান্য বিকল্প ব্যাখ্যা:
(a) উইলিয়াম ম্যাকডুগাল: প্রবৃত্তি-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তা।
(b) আর.এস. উডওয়ার্থ: S–O–R (Stimulus–Organism–Response) মডেলের প্রবক্তা, তিনি আচরণবাদ ও মানসিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটান।
(d) জে.বি. ওয়াটসন: আধুনিক আচরণবাদের প্রবর্তক, কিন্তু স্কিনার এই তত্ত্বকে পরিপূর্ণতা দেন।
- Question 21 of 60
21. Question
1 points21. প্রথম দিকে মনোবিজ্ঞান যে বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল তা হল-
CorrectIncorrect - Question 22 of 60
22. Question
1 points22. নিম্নলিখিত মনস্তত্ত্ববিদগণের মধ্যে সমগ্রতাবাদের সমর্থক?
Correctসমগ্রতাবাদ (Holism) বা গেশটাল্ট দৃষ্টিভঙ্গি এমন একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রবণতা, যেখানে মনে করা হয় সম্পূর্ণতা বা সমগ্রতা অংশগুলোর যোগফলের চেয়েও বেশি কিছু।
কার্ট লিউইন (Kurt Lewin):
তিনি গেশটাল্ট মনোবিজ্ঞানের প্রভাবিত মনোবিজ্ঞানী।তাঁর ক্ষেত্র তত্ত্ব (Field Theory) মানুষের আচরণকে একটি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করে—এই কারণে তিনি সমগ্রতাবাদের সমর্থক।
অন্যান্য বিকল্প:
(a) স্কিনার → চূড়ান্ত আচরণবাদী, কেবল পর্যবেক্ষণযোগ্য আচরণে বিশ্বাসী।(b) জ্যাঁ পিয়াজে → জ্ঞানমূলক বিকাশবাদী (Cognitive Developmentalist)।
(d) থর্নডাইক → সংযোগবাদ (Connectionism) ও কার্য-প্রতিক্রিয়া তত্ত্বের (Trial & Error) প্রবক্তা।
তাই, সমগ্রতাবাদের প্রকৃত সমর্থক হলেন:
✅ (c) কার্ট লিউইনIncorrectসমগ্রতাবাদ (Holism) বা গেশটাল্ট দৃষ্টিভঙ্গি এমন একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রবণতা, যেখানে মনে করা হয় সম্পূর্ণতা বা সমগ্রতা অংশগুলোর যোগফলের চেয়েও বেশি কিছু।
কার্ট লিউইন (Kurt Lewin):
তিনি গেশটাল্ট মনোবিজ্ঞানের প্রভাবিত মনোবিজ্ঞানী।তাঁর ক্ষেত্র তত্ত্ব (Field Theory) মানুষের আচরণকে একটি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করে—এই কারণে তিনি সমগ্রতাবাদের সমর্থক।
অন্যান্য বিকল্প:
(a) স্কিনার → চূড়ান্ত আচরণবাদী, কেবল পর্যবেক্ষণযোগ্য আচরণে বিশ্বাসী।(b) জ্যাঁ পিয়াজে → জ্ঞানমূলক বিকাশবাদী (Cognitive Developmentalist)।
(d) থর্নডাইক → সংযোগবাদ (Connectionism) ও কার্য-প্রতিক্রিয়া তত্ত্বের (Trial & Error) প্রবক্তা।
তাই, সমগ্রতাবাদের প্রকৃত সমর্থক হলেন:
✅ (c) কার্ট লিউইন - Question 23 of 60
23. Question
1 points23. আধুনিক অর্থে মনোবিজ্ঞান হল-
Correctআধুনিক মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুযায়ী:
“Psychology is the science of behavior.”
অর্থাৎ, মনোবিজ্ঞান হল আচরণের বিজ্ঞান।এটি শুধুমাত্র চিন্তা বা চেতনার বিষয় নয়, বরং ব্যক্তির বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ আচরণ (যা পর্যবেক্ষণযোগ্য বা পরোক্ষভাবে অনুমানযোগ্য) নিয়ে গবেষণা করে।
অন্যান্য বিকল্প বিশ্লেষণ:
(a) চেতনার বিজ্ঞান → প্রাচীন সংজ্ঞা (Wundt-এর সময়কালীন)।(c) আত্মার বিজ্ঞান → এটি মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রাচীন ও দর্শনভিত্তিক সংজ্ঞা, বৈজ্ঞানিক নয়।
(d) মনের বিজ্ঞান → আংশিক সঠিক, তবে আধুনিক মনোবিজ্ঞান শুধুমাত্র “মন” নয়, আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়া দুটোই বিশ্লেষণ করে।
উপসংহার:
আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক উত্তর:
✅ (b) আচরণের বিজ্ঞানIncorrectআধুনিক মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুযায়ী:
“Psychology is the science of behavior.”
অর্থাৎ, মনোবিজ্ঞান হল আচরণের বিজ্ঞান।এটি শুধুমাত্র চিন্তা বা চেতনার বিষয় নয়, বরং ব্যক্তির বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ আচরণ (যা পর্যবেক্ষণযোগ্য বা পরোক্ষভাবে অনুমানযোগ্য) নিয়ে গবেষণা করে।
অন্যান্য বিকল্প বিশ্লেষণ:
(a) চেতনার বিজ্ঞান → প্রাচীন সংজ্ঞা (Wundt-এর সময়কালীন)।(c) আত্মার বিজ্ঞান → এটি মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রাচীন ও দর্শনভিত্তিক সংজ্ঞা, বৈজ্ঞানিক নয়।
(d) মনের বিজ্ঞান → আংশিক সঠিক, তবে আধুনিক মনোবিজ্ঞান শুধুমাত্র “মন” নয়, আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়া দুটোই বিশ্লেষণ করে।
উপসংহার:
আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক উত্তর:
✅ (b) আচরণের বিজ্ঞান - Question 24 of 60
24. Question
1 points24. মনোবিদ্যা অধ্যয়নের নিজস্ব পদ্ধতি হল-
Correctমনোবিদ্যা (Psychology) বা মনোবিজ্ঞানের নিজস্ব ও প্রাচীনতম পদ্ধতি হল “অন্তর্দর্শন” (Introspection)।
অন্তর্দর্শন কী?
এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ব্যক্তি নিজের মানসিক প্রক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা নিজেই বিশ্লেষণ করে এবং বর্ণনা দেয়।এটি ছিল Wundt-এর মনোবিজ্ঞান গবেষণার মূল পদ্ধতি, যিনি প্রথম মনোবিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র বৈজ্ঞানিক শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন (1879, Leipzig)।
অন্যান্য বিকল্প:
(a) পর্যবেক্ষণ → বৈজ্ঞানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও শুধুমাত্র মনোবিজ্ঞানের নিজস্ব নয়; সমাজবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যাতেও ব্যবহৃত হয়।(b) পরীক্ষণ (Experimentation) → বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলেও এটি জীববিদ্যা বা রসায়নেরও অংশ।
(c) সাক্ষাৎকার (Interview) → গবেষণার একটি পদ্ধতি হলেও এটি সমাজবিজ্ঞান ও শিক্ষাবিজ্ঞানের সাধারণ টুল।
উপসংহার:
মনোবিজ্ঞানের নিজস্ব ও মৌলিক পদ্ধতি হল: (d) অন্তর্দর্শন ✅Incorrectমনোবিদ্যা (Psychology) বা মনোবিজ্ঞানের নিজস্ব ও প্রাচীনতম পদ্ধতি হল “অন্তর্দর্শন” (Introspection)।
অন্তর্দর্শন কী?
এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ব্যক্তি নিজের মানসিক প্রক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা নিজেই বিশ্লেষণ করে এবং বর্ণনা দেয়।এটি ছিল Wundt-এর মনোবিজ্ঞান গবেষণার মূল পদ্ধতি, যিনি প্রথম মনোবিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র বৈজ্ঞানিক শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন (1879, Leipzig)।
অন্যান্য বিকল্প:
(a) পর্যবেক্ষণ → বৈজ্ঞানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও শুধুমাত্র মনোবিজ্ঞানের নিজস্ব নয়; সমাজবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যাতেও ব্যবহৃত হয়।(b) পরীক্ষণ (Experimentation) → বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলেও এটি জীববিদ্যা বা রসায়নেরও অংশ।
(c) সাক্ষাৎকার (Interview) → গবেষণার একটি পদ্ধতি হলেও এটি সমাজবিজ্ঞান ও শিক্ষাবিজ্ঞানের সাধারণ টুল।
উপসংহার:
মনোবিজ্ঞানের নিজস্ব ও মৌলিক পদ্ধতি হল: (d) অন্তর্দর্শন ✅ - Question 25 of 60
25. Question
1 points25. মনস্তত্ত্বের কোন্ দৃষ্টিভঙ্গি ‘প্রত্যক্ষণ’-এর নিয়মাবলি উল্লেখ করে?
Correct‘প্রত্যক্ষণ’ (Perception) অর্থ হলো আমরা কীভাবে আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে পাওয়া তথ্যগুলোকে সংগঠিত করে অর্থ তৈরি করি।
সমগ্রতাবাদ (Holism) বা গেশটাল্ট মনোবিজ্ঞান হল সেই দৃষ্টিভঙ্গি যা বলেছে:
“The whole is more than the sum of its parts.”
এই দৃষ্টিভঙ্গির অন্তর্ভুক্ত মনোবিজ্ঞানীরা (যেমন Köhler, Koffka, Wertheimer) প্রত্যক্ষণ নিয়ে কাজ করেছেন এবং গেশটাল্ট নিয়মাবলি তৈরি করেন, যেমন:
নিকটতার নিয়ম (Law of Proximity)
সাদৃশ্যের নিয়ম (Law of Similarity)
বন্ধনতার নিয়ম (Law of Closure)
সজ্জার নিয়ম (Law of Prägnanz)
এগুলো প্রত্যক্ষণের নিয়মাবলি হিসেবে পরিচিত।
অন্যান্য বিকল্প:
(a) আচরণবাদ → শুধুমাত্র বাহ্যিক আচরণ নিয়ে কাজ করে, ইন্দ্রিয় বা অভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়া নয়।(c) জ্ঞানমূলক মনস্তত্ত্ব → চিন্তন ও মানসিক প্রক্রিয়াগুলি বিশ্লেষণ করে, কিন্তু প্রত্যক্ষণের গাঠনিক নিয়ম নয়।
(d) উপরের কোনোটিই নয় → ভুল, কারণ (b) সঠিক।
সুতরাং, সঠিক উত্তর:
✅ (b) সমগ্রতাবাদIncorrect‘প্রত্যক্ষণ’ (Perception) অর্থ হলো আমরা কীভাবে আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে পাওয়া তথ্যগুলোকে সংগঠিত করে অর্থ তৈরি করি।
সমগ্রতাবাদ (Holism) বা গেশটাল্ট মনোবিজ্ঞান হল সেই দৃষ্টিভঙ্গি যা বলেছে:
“The whole is more than the sum of its parts.”
এই দৃষ্টিভঙ্গির অন্তর্ভুক্ত মনোবিজ্ঞানীরা (যেমন Köhler, Koffka, Wertheimer) প্রত্যক্ষণ নিয়ে কাজ করেছেন এবং গেশটাল্ট নিয়মাবলি তৈরি করেন, যেমন:
নিকটতার নিয়ম (Law of Proximity)
সাদৃশ্যের নিয়ম (Law of Similarity)
বন্ধনতার নিয়ম (Law of Closure)
সজ্জার নিয়ম (Law of Prägnanz)
এগুলো প্রত্যক্ষণের নিয়মাবলি হিসেবে পরিচিত।
অন্যান্য বিকল্প:
(a) আচরণবাদ → শুধুমাত্র বাহ্যিক আচরণ নিয়ে কাজ করে, ইন্দ্রিয় বা অভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়া নয়।(c) জ্ঞানমূলক মনস্তত্ত্ব → চিন্তন ও মানসিক প্রক্রিয়াগুলি বিশ্লেষণ করে, কিন্তু প্রত্যক্ষণের গাঠনিক নিয়ম নয়।
(d) উপরের কোনোটিই নয় → ভুল, কারণ (b) সঠিক।
সুতরাং, সঠিক উত্তর:
✅ (b) সমগ্রতাবাদ - Question 26 of 60
26. Question
1 points26. সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া বলতে বোঝায়-
Correctসামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া (Socialization Process) একটি জটিল এবং বহুমুখী ধারণা যা ব্যক্তি কীভাবে সমাজের সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠে তা ব্যাখ্যা করে। এটি এমন একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি তার সমাজের রীতিনীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, জ্ঞান, দক্ষতা এবং আচরণবিধি আয়ত্ত করে। প্রদত্ত বিকল্পগুলি এই প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিককে নির্দেশ করে।(a) সমাজ সমর্থিত আচরণ শিখন
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য দিক হলো সমাজ সমর্থিত আচরণ (Socially Approved Behavior) শেখা। এর অর্থ হলো, ব্যক্তি সমাজের দ্বারা গ্রহণযোগ্য এবং প্রত্যাশিত আচরণগুলি শিখবে। এই আচরণগুলি মৌখিক এবং অমৌখিক উভয়ই হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিশুরা তাদের পিতামাতা, শিক্ষক এবং সমবয়সীদের কাছ থেকে শেখে কীভাবে অন্যদের সাথে সম্মানজনকভাবে কথা বলতে হয়, কীভাবে ভাগ করে নিতে হয়, এবং কীভাবে সামাজিক অনুষ্ঠানে আচরণ করতে হয়। এই শিখন প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ, অনুকরণ, পুরস্কার এবং শাস্তির মাধ্যমে ঘটে থাকে ( Sociology: A Global Introduction ). সমাজ তার সদস্যদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কিছু আচরণের প্রত্যাশা করে এবং যারা এই প্রত্যাশা পূরণ করে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়, আর যারা করে না, তাদের তিরস্কার করা হয় বা শাস্তি দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের নিয়মকানুন মেনে চলতে শেখে এবং সমাজে সুষ্ঠুভাবে মিশে যেতে পারে।(b) সামাজিক ভূমিকা পালন করা
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সামাজিক ভূমিকা (Social Roles) পালন করা। সমাজে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকা নির্ধারিত থাকে, যেমন – সন্তান, ছাত্র, বন্ধু, কর্মচারী, নাগরিক ইত্যাদি। এই প্রতিটি ভূমিকার সাথে নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যাশা এবং দায়িত্ব জড়িত থাকে। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি এই ভূমিকাগুলি কীভাবে সঠিকভাবে পালন করতে হয় তা শেখে ( The Blackwell Dictionary of Sociology ). উদাহরণস্বরূপ, একজন ছাত্রের ভূমিকা হলো পড়াশোনা করা, শিক্ষকদের সম্মান করা এবং বিদ্যালয়ের নিয়মকানুন মেনে চলা। একজন পিতামাতার ভূমিকা হলো সন্তানের যত্ন নেওয়া, তাদের শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের নৈতিক মূল্যবোধ শেখানো। এই ভূমিকাগুলি পালন করার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের কাঠামো এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করে এবং সমাজে তার স্থান বুঝতে পারে। ভূমিকা পালন (Role-playing) সামাজিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল, যেখানে ব্যক্তি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেকে অন্যের অবস্থানে রেখে চিন্তা করতে শেখে এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করে।(c) সামাজিক মনোভাব বিকাশসাধন
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তির সামাজিক মনোভাব (Social Attitudes) এবং মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। মনোভাব হলো কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ধারণার প্রতি ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রবণতা। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং আদর্শগুলি আত্মস্থ করে ( Social Psychology ). উদাহরণস্বরূপ, শিশুরা তাদের পরিবার এবং সমাজের কাছ থেকে সততা, সহানুভূতি, ন্যায়পরায়ণতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মতো মূল্যবোধগুলি শেখে। এই মূল্যবোধগুলি তাদের আচরণ এবং সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। সামাজিক মনোভাবের বিকাশ ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তাকে সমাজের একজন কার্যকরী সদস্য হিসেবে গড়ে তোলে। এই মনোভাবগুলি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন – পরিবার, বিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে সঞ্চারিত হয়।(d) উপরের সবগুলি
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট যে, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া কেবল সমাজ সমর্থিত আচরণ শিখন, সামাজিক ভূমিকা পালন করা বা সামাজিক মনোভাব বিকাশসাধন – এই একটি দিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং, এটি এই তিনটি দিকের সমন্বিত ফল। সামাজিকীকরণ একটি ব্যাপক প্রক্রিয়া যা ব্যক্তির সামগ্রিক সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। এটি ব্যক্তিকে সমাজের রীতিনীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং আচরণবিধি শিখতে সাহায্য করে, যাতে সে সমাজের একজন কার্যকরী এবং দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে জীবনযাপন করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি তার নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলে এবং সমাজের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপন করে। অতএব, “উপরের সবগুলি” বিকল্পটিই সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার সঠিক এবং সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা ( A Dictionary of Sociology ).Incorrectসামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া (Socialization Process) একটি জটিল এবং বহুমুখী ধারণা যা ব্যক্তি কীভাবে সমাজের সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠে তা ব্যাখ্যা করে। এটি এমন একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি তার সমাজের রীতিনীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, জ্ঞান, দক্ষতা এবং আচরণবিধি আয়ত্ত করে। প্রদত্ত বিকল্পগুলি এই প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিককে নির্দেশ করে।(a) সমাজ সমর্থিত আচরণ শিখন
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য দিক হলো সমাজ সমর্থিত আচরণ (Socially Approved Behavior) শেখা। এর অর্থ হলো, ব্যক্তি সমাজের দ্বারা গ্রহণযোগ্য এবং প্রত্যাশিত আচরণগুলি শিখবে। এই আচরণগুলি মৌখিক এবং অমৌখিক উভয়ই হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিশুরা তাদের পিতামাতা, শিক্ষক এবং সমবয়সীদের কাছ থেকে শেখে কীভাবে অন্যদের সাথে সম্মানজনকভাবে কথা বলতে হয়, কীভাবে ভাগ করে নিতে হয়, এবং কীভাবে সামাজিক অনুষ্ঠানে আচরণ করতে হয়। এই শিখন প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ, অনুকরণ, পুরস্কার এবং শাস্তির মাধ্যমে ঘটে থাকে ( Sociology: A Global Introduction ). সমাজ তার সদস্যদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কিছু আচরণের প্রত্যাশা করে এবং যারা এই প্রত্যাশা পূরণ করে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়, আর যারা করে না, তাদের তিরস্কার করা হয় বা শাস্তি দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের নিয়মকানুন মেনে চলতে শেখে এবং সমাজে সুষ্ঠুভাবে মিশে যেতে পারে।(b) সামাজিক ভূমিকা পালন করা
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সামাজিক ভূমিকা (Social Roles) পালন করা। সমাজে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকা নির্ধারিত থাকে, যেমন – সন্তান, ছাত্র, বন্ধু, কর্মচারী, নাগরিক ইত্যাদি। এই প্রতিটি ভূমিকার সাথে নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যাশা এবং দায়িত্ব জড়িত থাকে। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি এই ভূমিকাগুলি কীভাবে সঠিকভাবে পালন করতে হয় তা শেখে ( The Blackwell Dictionary of Sociology ). উদাহরণস্বরূপ, একজন ছাত্রের ভূমিকা হলো পড়াশোনা করা, শিক্ষকদের সম্মান করা এবং বিদ্যালয়ের নিয়মকানুন মেনে চলা। একজন পিতামাতার ভূমিকা হলো সন্তানের যত্ন নেওয়া, তাদের শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের নৈতিক মূল্যবোধ শেখানো। এই ভূমিকাগুলি পালন করার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের কাঠামো এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করে এবং সমাজে তার স্থান বুঝতে পারে। ভূমিকা পালন (Role-playing) সামাজিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল, যেখানে ব্যক্তি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেকে অন্যের অবস্থানে রেখে চিন্তা করতে শেখে এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করে।(c) সামাজিক মনোভাব বিকাশসাধন
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তির সামাজিক মনোভাব (Social Attitudes) এবং মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। মনোভাব হলো কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ধারণার প্রতি ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রবণতা। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং আদর্শগুলি আত্মস্থ করে ( Social Psychology ). উদাহরণস্বরূপ, শিশুরা তাদের পরিবার এবং সমাজের কাছ থেকে সততা, সহানুভূতি, ন্যায়পরায়ণতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মতো মূল্যবোধগুলি শেখে। এই মূল্যবোধগুলি তাদের আচরণ এবং সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। সামাজিক মনোভাবের বিকাশ ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তাকে সমাজের একজন কার্যকরী সদস্য হিসেবে গড়ে তোলে। এই মনোভাবগুলি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন – পরিবার, বিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে সঞ্চারিত হয়।(d) উপরের সবগুলি
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট যে, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া কেবল সমাজ সমর্থিত আচরণ শিখন, সামাজিক ভূমিকা পালন করা বা সামাজিক মনোভাব বিকাশসাধন – এই একটি দিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং, এটি এই তিনটি দিকের সমন্বিত ফল। সামাজিকীকরণ একটি ব্যাপক প্রক্রিয়া যা ব্যক্তির সামগ্রিক সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। এটি ব্যক্তিকে সমাজের রীতিনীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং আচরণবিধি শিখতে সাহায্য করে, যাতে সে সমাজের একজন কার্যকরী এবং দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে জীবনযাপন করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি তার নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলে এবং সমাজের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপন করে। অতএব, “উপরের সবগুলি” বিকল্পটিই সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার সঠিক এবং সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা ( A Dictionary of Sociology ). - Question 27 of 60
27. Question
1 points27. বিকাশের কোন্ স্তরে সামাজিক ‘গ্যাং’-এর প্রভাব স্পষ্ট হয়?
Correctবিকাশের কোন্ স্তরে সামাজিক ‘গ্যাং’-এর প্রভাব স্পষ্ট হয়?
সামাজিক ‘গ্যাং’-এর প্রভাব বিকাশের বিভিন্ন স্তরে পরিলক্ষিত হলেও, এর স্পষ্ট প্রভাব পরবর্তী বাল্যকাল (Later Childhood) এবং বয়ঃসন্ধিক্ষণ (Adolescence) উভয় স্তরেই দেখা যায়। তবে, প্রশ্নের বিকল্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তরটি নির্বাচন করতে হলে, প্রতিটি স্তরের বৈশিষ্ট্য এবং ‘গ্যাং’-এর প্রভাবের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।প্রথমত, ‘গ্যাং’ বা সমবয়সী দলের (peer group) ধারণাটি বোঝা জরুরি। সমবয়সী দল হলো এমন একদল ব্যক্তি যাদের বয়স, সামাজিক অবস্থান এবং আগ্রহের দিক থেকে মিল রয়েছে। এই দলগুলি শিশুদের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ( Child Development )
প্রথম বাল্যকাল (Early Childhood): এই স্তরে (সাধারণত ২-৬ বছর বয়স) শিশুরা মূলত পরিবারকেন্দ্রিক থাকে। তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সীমিত থাকে এবং খেলার সঙ্গী বা ছোট ছোট দল তৈরি হলেও, সেগুলির গঠন খুব বেশি সুসংগঠিত বা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এই সময়ে ‘গ্যাং’-এর প্রভাব খুব একটা স্পষ্ট হয় না, কারণ শিশুরা তখনও নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় এবং সামাজিক ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করেনি। তাদের খেলাধুলা সাধারণত সমান্তরাল (parallel play) বা সহযোগী (associative play) প্রকৃতির হয়, যেখানে সুনির্দিষ্ট নিয়ম বা দলগত আনুগত্যের চেয়ে ব্যক্তিগত আনন্দই বেশি প্রাধান্য পায়। ( Theories of Child Development )
পরবর্তী বাল্যকাল (Later Childhood): এই স্তরটি সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সময়ে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করে এবং তাদের সামাজিক পরিধি প্রসারিত হয়। এই স্তরেই সমবয়সী দলের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শিশুরা তাদের পরিবারের বাইরে নিজেদের একটি স্থান খুঁজে বের করতে চায় এবং সমবয়সীদের স্বীকৃতি তাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে ওঠে। এই সময়ে গঠিত দলগুলি আরও সুসংগঠিত হয় এবং তাদের নিজস্ব নিয়মকানুন, গোপন সংকেত এবং দলগত আনুগত্যের ধারণা তৈরি হয়। এই দলগুলিকেই অনেক সময় ‘গ্যাং’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যদিও এই ‘গ্যাং’ শব্দটি সবসময় নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয় না। এই দলগুলি শিশুদের সামাজিক দক্ষতা, সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা এবং নেতৃত্ব বিকাশে সাহায্য করে। এই সময়ে শিশুরা তাদের বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করে এবং তাদের বন্ধুদের মতামত তাদের কাছে পরিবারের সদস্যদের মতামতের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই স্তরেই ‘গ্যাং’-এর প্রভাব স্পষ্ট হতে শুরু করে, কারণ শিশুরা তাদের সমবয়সী দলের আদর্শ, মূল্যবোধ এবং আচরণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। ( Developmental Psychology )
বয়ঃসন্ধিক্ষণ (Adolescence): এই স্তরটি সাধারণত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সময়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এই স্তরে সমবয়সী দলের প্রভাব আরও তীব্র এবং জটিল হয়ে ওঠে। বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েরা তাদের পরিচয় গঠনে এবং স্বাধীনতা অর্জনে সচেষ্ট হয়। এই সময়ে তারা পরিবারের চেয়ে সমবয়সী দলের প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এই দলগুলি তাদের আত্মবিশ্বাস, সামাজিক সমর্থন এবং নিজেদের মূল্যবোধ গঠনে সাহায্য করে। এই সময়ে গঠিত ‘গ্যাং’গুলি আরও সুসংগঠিত এবং প্রভাবশালী হতে পারে। এই দলগুলির মধ্যে দলগত চাপ (peer pressure) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, যা ইতিবাচক বা নেতিবাচক উভয় দিকেই প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে কিশোর-কিশোরীরা তাদের বন্ধুদের সাথে নিজেদের তুলনা করে এবং তাদের আচরণ, পোশাক, ভাষা এমনকি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এই ‘গ্যাং’গুলি অপরাধমূলক কার্যকলাপেও জড়িত হতে পারে, যা সমাজের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়। ( Adolescence )
উপরের সর্বস্তরে: যদিও সমবয়সী দলের প্রভাব বিকাশের বিভিন্ন স্তরেই দেখা যায়, তবে ‘গ্যাং’-এর প্রভাবের স্পষ্টতা এবং প্রকৃতি প্রতিটি স্তরে ভিন্ন হয়। প্রথম বাল্যকালে এর প্রভাব নগণ্য, পরবর্তী বাল্যকালে এটি স্পষ্ট হতে শুরু করে এবং বয়ঃসন্ধিকালে এটি আরও তীব্র ও জটিল রূপ ধারণ করে।
প্রশ্নে ‘স্পষ্ট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটি নির্দিষ্ট স্তরে প্রভাবের তীব্রতা এবং দৃশ্যমানতাকে নির্দেশ করে। পরবর্তী বাল্যকালে শিশুরা তাদের সমবয়সী দলের প্রতি আনুগত্য এবং তাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার প্রবণতা প্রদর্শন করে, যা ‘গ্যাং’-এর প্রভাবের একটি স্পষ্ট লক্ষণ। বয়ঃসন্ধিকালে এই প্রভাব আরও গভীর হলেও, এর সূত্রপাত এবং প্রাথমিক স্পষ্টতা পরবর্তী বাল্যকালেই ঘটে। অনেক মনোবিজ্ঞানী মনে করেন যে, পরবর্তী বাল্যকালে গঠিত সমবয়সী দলগুলিই বয়ঃসন্ধিকালের আরও জটিল ‘গ্যাং’-এর ভিত্তি স্থাপন করে। ( Child and Adolescent Development )
অতএব, বিকাশের যে স্তরে সামাজিক ‘গ্যাং’-এর প্রভাব স্পষ্ট হয়, তা হলো (b) পরবর্তী বাল্যকাল। যদিও বয়ঃসন্ধিক্ষণে এর প্রভাব আরও গভীর হয়, তবে ‘স্পষ্ট’ হওয়া শুরু হয় পরবর্তী বাল্যকাল থেকেই।
Incorrectবিকাশের কোন্ স্তরে সামাজিক ‘গ্যাং’-এর প্রভাব স্পষ্ট হয়?
সামাজিক ‘গ্যাং’-এর প্রভাব বিকাশের বিভিন্ন স্তরে পরিলক্ষিত হলেও, এর স্পষ্ট প্রভাব পরবর্তী বাল্যকাল (Later Childhood) এবং বয়ঃসন্ধিক্ষণ (Adolescence) উভয় স্তরেই দেখা যায়। তবে, প্রশ্নের বিকল্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তরটি নির্বাচন করতে হলে, প্রতিটি স্তরের বৈশিষ্ট্য এবং ‘গ্যাং’-এর প্রভাবের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।প্রথমত, ‘গ্যাং’ বা সমবয়সী দলের (peer group) ধারণাটি বোঝা জরুরি। সমবয়সী দল হলো এমন একদল ব্যক্তি যাদের বয়স, সামাজিক অবস্থান এবং আগ্রহের দিক থেকে মিল রয়েছে। এই দলগুলি শিশুদের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ( Child Development )
প্রথম বাল্যকাল (Early Childhood): এই স্তরে (সাধারণত ২-৬ বছর বয়স) শিশুরা মূলত পরিবারকেন্দ্রিক থাকে। তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সীমিত থাকে এবং খেলার সঙ্গী বা ছোট ছোট দল তৈরি হলেও, সেগুলির গঠন খুব বেশি সুসংগঠিত বা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এই সময়ে ‘গ্যাং’-এর প্রভাব খুব একটা স্পষ্ট হয় না, কারণ শিশুরা তখনও নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় এবং সামাজিক ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করেনি। তাদের খেলাধুলা সাধারণত সমান্তরাল (parallel play) বা সহযোগী (associative play) প্রকৃতির হয়, যেখানে সুনির্দিষ্ট নিয়ম বা দলগত আনুগত্যের চেয়ে ব্যক্তিগত আনন্দই বেশি প্রাধান্য পায়। ( Theories of Child Development )
পরবর্তী বাল্যকাল (Later Childhood): এই স্তরটি সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সময়ে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করে এবং তাদের সামাজিক পরিধি প্রসারিত হয়। এই স্তরেই সমবয়সী দলের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শিশুরা তাদের পরিবারের বাইরে নিজেদের একটি স্থান খুঁজে বের করতে চায় এবং সমবয়সীদের স্বীকৃতি তাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে ওঠে। এই সময়ে গঠিত দলগুলি আরও সুসংগঠিত হয় এবং তাদের নিজস্ব নিয়মকানুন, গোপন সংকেত এবং দলগত আনুগত্যের ধারণা তৈরি হয়। এই দলগুলিকেই অনেক সময় ‘গ্যাং’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যদিও এই ‘গ্যাং’ শব্দটি সবসময় নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয় না। এই দলগুলি শিশুদের সামাজিক দক্ষতা, সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা এবং নেতৃত্ব বিকাশে সাহায্য করে। এই সময়ে শিশুরা তাদের বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করে এবং তাদের বন্ধুদের মতামত তাদের কাছে পরিবারের সদস্যদের মতামতের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই স্তরেই ‘গ্যাং’-এর প্রভাব স্পষ্ট হতে শুরু করে, কারণ শিশুরা তাদের সমবয়সী দলের আদর্শ, মূল্যবোধ এবং আচরণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। ( Developmental Psychology )
বয়ঃসন্ধিক্ষণ (Adolescence): এই স্তরটি সাধারণত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সময়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এই স্তরে সমবয়সী দলের প্রভাব আরও তীব্র এবং জটিল হয়ে ওঠে। বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েরা তাদের পরিচয় গঠনে এবং স্বাধীনতা অর্জনে সচেষ্ট হয়। এই সময়ে তারা পরিবারের চেয়ে সমবয়সী দলের প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এই দলগুলি তাদের আত্মবিশ্বাস, সামাজিক সমর্থন এবং নিজেদের মূল্যবোধ গঠনে সাহায্য করে। এই সময়ে গঠিত ‘গ্যাং’গুলি আরও সুসংগঠিত এবং প্রভাবশালী হতে পারে। এই দলগুলির মধ্যে দলগত চাপ (peer pressure) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, যা ইতিবাচক বা নেতিবাচক উভয় দিকেই প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে কিশোর-কিশোরীরা তাদের বন্ধুদের সাথে নিজেদের তুলনা করে এবং তাদের আচরণ, পোশাক, ভাষা এমনকি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এই ‘গ্যাং’গুলি অপরাধমূলক কার্যকলাপেও জড়িত হতে পারে, যা সমাজের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়। ( Adolescence )
উপরের সর্বস্তরে: যদিও সমবয়সী দলের প্রভাব বিকাশের বিভিন্ন স্তরেই দেখা যায়, তবে ‘গ্যাং’-এর প্রভাবের স্পষ্টতা এবং প্রকৃতি প্রতিটি স্তরে ভিন্ন হয়। প্রথম বাল্যকালে এর প্রভাব নগণ্য, পরবর্তী বাল্যকালে এটি স্পষ্ট হতে শুরু করে এবং বয়ঃসন্ধিকালে এটি আরও তীব্র ও জটিল রূপ ধারণ করে।
প্রশ্নে ‘স্পষ্ট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটি নির্দিষ্ট স্তরে প্রভাবের তীব্রতা এবং দৃশ্যমানতাকে নির্দেশ করে। পরবর্তী বাল্যকালে শিশুরা তাদের সমবয়সী দলের প্রতি আনুগত্য এবং তাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার প্রবণতা প্রদর্শন করে, যা ‘গ্যাং’-এর প্রভাবের একটি স্পষ্ট লক্ষণ। বয়ঃসন্ধিকালে এই প্রভাব আরও গভীর হলেও, এর সূত্রপাত এবং প্রাথমিক স্পষ্টতা পরবর্তী বাল্যকালেই ঘটে। অনেক মনোবিজ্ঞানী মনে করেন যে, পরবর্তী বাল্যকালে গঠিত সমবয়সী দলগুলিই বয়ঃসন্ধিকালের আরও জটিল ‘গ্যাং’-এর ভিত্তি স্থাপন করে। ( Child and Adolescent Development )
অতএব, বিকাশের যে স্তরে সামাজিক ‘গ্যাং’-এর প্রভাব স্পষ্ট হয়, তা হলো (b) পরবর্তী বাল্যকাল। যদিও বয়ঃসন্ধিক্ষণে এর প্রভাব আরও গভীর হয়, তবে ‘স্পষ্ট’ হওয়া শুরু হয় পরবর্তী বাল্যকাল থেকেই।
- Question 28 of 60
28. Question
1 points28. শৈশব এবং বাল্যকালের দুটি প্রধান আবেগ হল –
Correctসঠিক উত্তরটি হল (b) ভয় এবং ভালোবাসা। শৈশবে শিশুরা প্রধানত এই দুটি আবেগ অনুভব করে।
শৈশবে শিশুরা বিভিন্ন কারণে ভয় অনুভব করে, যেমন অপরিচিত পরিবেশ, শব্দ, বা ব্যক্তিদের প্রতি ভয়। একই সাথে, তারা ভালোবাসাও অনুভব করে, যা তাদের পিতামাতা, পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি থাকে। এই দুটি আবেগই শৈশবের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শৈশব থেকে আবেগের ক্রমবিকাশ – মনের …
অন্যদিকে, রাগ একটি শক্তিশালী আবেগ যা শিশুরা পরে অনুভব করতে শেখে। যদিও রাগও শৈশবে দেখা যায়, তবে ভয় এবং ভালোবাসা শৈশবের দুটি প্রধান এবং প্রাথমিক আবেগ।Incorrectসঠিক উত্তরটি হল (b) ভয় এবং ভালোবাসা। শৈশবে শিশুরা প্রধানত এই দুটি আবেগ অনুভব করে।
শৈশবে শিশুরা বিভিন্ন কারণে ভয় অনুভব করে, যেমন অপরিচিত পরিবেশ, শব্দ, বা ব্যক্তিদের প্রতি ভয়। একই সাথে, তারা ভালোবাসাও অনুভব করে, যা তাদের পিতামাতা, পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি থাকে। এই দুটি আবেগই শৈশবের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শৈশব থেকে আবেগের ক্রমবিকাশ – মনের …
অন্যদিকে, রাগ একটি শক্তিশালী আবেগ যা শিশুরা পরে অনুভব করতে শেখে। যদিও রাগও শৈশবে দেখা যায়, তবে ভয় এবং ভালোবাসা শৈশবের দুটি প্রধান এবং প্রাথমিক আবেগ। - Question 29 of 60
29. Question
1 points29. শারীরিক বিকাশ শিশুর আচরণকে-
CorrectIncorrect - Question 30 of 60
30. Question
1 points30. বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে
CorrectIncorrect - Question 31 of 60
31. Question
1 points31. কোনটি সঠিক নয়?
CorrectIncorrect - Question 32 of 60
32. Question
1 points32. নিম্নের কোন্ বক্তব্যটি প্রাসঙ্গিক নয়?
CorrectIncorrect - Question 33 of 60
33. Question
1 points33. সঠিক বিকল্পটি নির্দিষ্ট করুন:
CorrectIncorrect - Question 34 of 60
34. Question
1 points34. গর্ভাবস্থা থেকে যৌন পরিণমন পর্যন্ত ব্যক্তিকে কটি ভাগে ভাগ করা হয়?
CorrectIncorrect - Question 35 of 60
35. Question
1 points35. প্রাপ্তবয়স্ক অপেক্ষা শিশু যে বিষয়ে এগিয়ে থাকে তা হল-
CorrectIncorrect - Question 36 of 60
36. Question
1 points36. শৈশবকালীন বিকাশে যে বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ তা হল-
CorrectIncorrect - Question 37 of 60
37. Question
1 points37. শিশুর আত্মোপলব্ধিতে সাহায্য করে-
CorrectIncorrect - Question 38 of 60
38. Question
1 points38. শিক্ষক যখন তাপসকে ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন, শিক্ষককে তখন ব্যাকরণের মতো তাপসকে জানতে হবে-এ বাক্যটির তাৎপর্য হল-
CorrectIncorrect - Question 39 of 60
39. Question
1 points39. মনোবিশ্লেষণ পদ্ধতির কৌশলগুলি হল-
CorrectIncorrect - Question 40 of 60
40. Question
1 points40. শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান হল-
CorrectIncorrect - Question 41 of 60
41. Question
1 points41. নিম্নের কোন্ পদ্ধতিটি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়ের কার্যধারা পর্যালোচনা করে?
CorrectIncorrect - Question 42 of 60
42. Question
1 points42. নিম্নোক্ত বক্তব্যগুলির কোনটি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির অসুবিধা ব্যক্ত করে?
CorrectIncorrect - Question 43 of 60
43. Question
1 points43. শিক্ষার কোন্ পর্যায়ের সঙ্গে শিক্ষা মনোবিজ্ঞান প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট নয়?
CorrectIncorrect - Question 44 of 60
44. Question
1 points44. কোটি শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের প্রাসঙ্গিক বিষয় নয়?
CorrectIncorrect - Question 45 of 60
45. Question
1 points45. শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ অধ্যয়ন করার সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি হল-
CorrectIncorrect - Question 46 of 60
46. Question
1 points46. নীচের ভুল বক্তব্যটি চিহ্নিত করুন-
CorrectIncorrect - Question 47 of 60
47. Question
1 points47. “শিক্ষাকে আমি মনস্তত্ত্বভিত্তিক করতে চাই”-উক্তিটি কার?
CorrectIncorrect - Question 48 of 60
48. Question
1 points48. মনোবিজ্ঞান ও শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য হল-
CorrectIncorrect - Question 49 of 60
49. Question
1 points49. শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্যগুলি হল-
CorrectIncorrect - Question 50 of 60
50. Question
1 points50. শিক্ষা মনোবিজ্ঞান হল-
CorrectIncorrect - Question 51 of 60
51. Question
1 points51.মনোবিজ্ঞানকে কোন্ জাতীয় বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়?
CorrectIncorrect - Question 52 of 60
52. Question
1 points52. মনের কোন্ অংশটি সর্ববৃহৎ?
CorrectIncorrect - Question 53 of 60
53. Question
1 points53. “নতুন তথ্য বা জ্ঞান পূর্বঅভিজ্ঞতার সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে অর্থপূর্ণ এবং বোধগম্য হয়ে ওঠে”- কোন্ মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির বক্তব্য।?
CorrectIncorrect - Question 54 of 60
54. Question
1 points54. মনোবিজ্ঞানকে একটি পৃথক বিজ্ঞানের বিষয় বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ-
CorrectIncorrect - Question 55 of 60
55. Question
1 points55. শিক্ষা মনোবিজ্ঞান হল মনোবিজ্ঞানের সেই শাখা যা শিক্ষা এবং শিখন নিয়ে কাজ করে-সংজ্ঞাটি কার দেওয়া?
CorrectIncorrect - Question 56 of 60
56. Question
1 points56. ইদম্ (ID), অহং (Ego) এবং অধিসত্ত্বার (Super Ego) মধ্যে কোনটি সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী?
CorrectIncorrect - Question 57 of 60
57. Question
1 points57. ম্যাকডুগালের মতে, মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী মৌলিক প্রক্রিয়াগুলি হল-
CorrectIncorrect - Question 58 of 60
58. Question
1 points58. নীচের কোন্ মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি সাম্প্রতিকতম?
CorrectIncorrect - Question 59 of 60
59. Question
1 points59. “মনোবিজ্ঞান প্রথমে তার আত্মাকে হারিয়েছে, তারপর হারিয়েছে তার মন, তারপর হারিয়েছে তার চেতনাও,কিন্তু তার মধ্যে একপ্রকার আচরণ রয়ে গেছে”-উক্তিটি কার?
CorrectIncorrect - Question 60 of 60
60. Question
1 points60. আচরণ বিশ্লেষণে ওয়াটসন কোন্ পদ্ধতির বিরোধিতা করেছেন?
CorrectIncorrect
Leaderboard: Set 2 WB SSC SLST 2025 2. শিক্ষার মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তিসমূহ
Pos. | Name | Entered on | Points | Result |
---|---|---|---|---|
Table is loading | ||||
No data available | ||||